
কমিটির মেয়াদ আছে আর মাত্র ৩ মাস, তারপরও কোনোভাবেই কমছে না জেলা আওয়ামীলীগের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর মধ্যকার কোন্দল। কমিটি গঠনের পর থেকেই চলছে এ দ্বন্দ যা সময়ের সাথে সাথে আরো প্রকট আকার ধারণ করছে বলে মনে করে নেতাকর্মীরা। এক পক্ষ কর্মসূচী দিলে সেখানে অন্য পক্ষকে জানানো হয় না বা জানালেও উপস্থিত হননা এভাবেই চলছে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের তিন সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে আব্দুল হাইকে সভাপতি, মেয়র আইভীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভিপি বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৭৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থানা কমিটি গঠন, কমিটির শুন্যপদে নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু ইস্যুতে দ্ইু মেরুর নেতারা দুই ধারায় চলতে থাকে। এ দুই মেরুর নেতৃত্বে রয়েছেন সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এবং মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদলের নেতৃত্বে কর্মসূচী পালন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বীরু, ইকবাল পারভেজ সহ জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া শামীম ওসমান বলয়ের অন্যান্য নেতারা।
অপরদিকে, এ দুই কর্মসূচিতেই অনুপস্থিত ছিলেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, সহ-সভাপতি আরজু ভুইয়া, আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ আইভী অনুসারী নেতৃবৃন্দরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী জানায়, শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিন উপলক্ষে যথাক্রমে পাঁচ ও আট আগষ্ট পৃথক দুটি দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা আওয়ামীলীগ। এ দোয়া মাহফিলগুলোতে উত্তর মেরুর নেতারা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না দক্ষিণ মেরুর নেতারা। আর এতেই দৃশ্যমান হয় যে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর দ্বন্দ আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।
উত্তর মেরুর এক নেতা বলেন, যারা প্রকৃত আওয়ামীলীগ করে, দলকে ভালোবাসেনা তারাই শেখ কামাল ও বঙ্গমাতার জন্মদিনের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়নি। অপরদিকে দক্ষিণ মেরুর এক নেতা বলেন, মিলাদ ও দোয়ার বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কাউকে কিছু না বলে নিজেরা নিজেরা মিলে এ দোয়ার আয়োজন করে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু ভুইয়া বলেন, আসলে কোভিড-১৯ এর কারণে সংক্ষিপ্ত আকারে কর্মসূচী পালনের কথা তাই আমরা উপস্থিত হই নি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম, এখনো অসুস্থ, ভীষণ অসুস্থ। হাই ভাই আমাকে জানিয়েছিলো দোয়া ও আলোচনার ব্যাপারে।
সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির কল রিসিভ করেন নি।
No posts found.